অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যখন বর্বর ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে ফিলিস্তিনের হত্যা করে যাচ্ছে তখন হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ওসামা হামদান এ আহ্বান জানালেন।
লেবানন-প্রবাসী এই নেতা গতকাল (শুক্রবার) বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজার ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করা ও গাজার ক্রসিংগুলো খুলে দিতে ওয়াশিংটনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার ক্ষমতা আরব ও মুসলিম দেশগুলোর রয়েছে।
আজ (শনিবার) সৌদি আরবে অনুষ্ঠেয় গাজা যুদ্ধ বিষয়ক আরব লীগের বিশেষ অধিবেশনের প্রতি ইঙ্গিত করে হামদান বলেন, আরব দেশগুলোকে নিছক ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানানোর চেয়ে বেশি কিছু করতে হবে। ইসরাইলের সঙ্গে এখনও যেসব আরব দেশের সম্পর্ক রয়েছে তিনি তাদেরকে সম্পর্ক ছিন্ন করার এবং বাকি দেশগুলোর পক্ষ থেকে তেল আবিবের সঙ্গে ‘সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ’ প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহ্বান জানান।
হামাসের এই নেতা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ করার দায়ে ইসরাইলি নেতাদের বিচার করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
‘হামাস লড়াই ত্যাগ করবে না’ : বৈরুতের সংবাদ সম্মেলনে ওসামা হামদান বলেন, সব রকম প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে তার সংগঠনের যোদ্ধারা ইসরাইলি আগ্রাসন প্রতিহত করার কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, আল-কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা গাজায় ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের মনোবল চাঙ্গা রয়েছে। তিনি দখলদার সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা জোরদার করার জন্য যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দখলদার ইসরাইল কেবল অস্ত্রের ভাষা উপলব্ধি করে। গাজায় নিহত ইসরাইলি সেনার প্রকৃত সংখ্যা তাদের ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
‘যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে ইসরাইল’ : হামাসের প্রবাসী নেতা ওসামা হামদান আরো জানান, মানবিক কারণে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমেরিকার পরিপূর্ণ মদদ নিয়ে তেল আবিব যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করে আসছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যেকোনো যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন।
Leave a Reply